সূত্র
নির্দেশকের মান নির্ণয় করার জন্য পূর্বের দিনের লো বিয়োগ করতে হবে এর হাই এবং ইন্টার্ভাল থেকে। বিয়োগফলকে ৫টি মাত্রায় বিভক্ত করা হয়:
লাইন ১ – সর্বনিন্ম
লাইন ২ – ৩৮.২% (লাইন ৩ : লাইন ১)
লাইন ৩ – ৫০% (সর্বোচ্চ : সর্বনিন্ম)
লাইন ৪ – ৬১.৮% (লাইন ৫: লাইন ৩)
লাইন ৫ (সর্বোচ্চ)
লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহার
'ডে চ্যানেল' নির্দেশক সমর্থন এবং প্রতিরোধের স্বল্প-মেয়াদী মাত্রাগুলো নির্ধারণ করতে সহায়তা করে, যা একজন ব্যবসায়ী ক্রয় এবং বিক্রয় লেনদেন খোলার জন্য ব্যবহার করতে পারে, কারন মেটাট্রেডারের 'ডে চ্যানেল' নির্দেশকের মাত্রাগুলো মূল্যের জন্য শক্তিশালী ইন্ট্রাডে ব্যারিয়ার হিসাবে কাজ করে।
'ডে চ্যানেল' নির্দেশকের হিসাব পদ্ধতি অন্যান্য চ্যানেল নির্দেশকের হিসাব পদ্ধতির মতই। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নির্দেশকের লাইনগুলো ফিবানচি ধারার উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং পিভট পয়েন্ট হিসাবে থাকা লাইন ৩ (৫০%) এর মাত্রাটি হল প্রধান মাত্রা।
লেনদেনে এই নির্দেশকটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে একজন ব্যবসায়ীকে বুঝতে হবে যে, 'ডে চ্যানেল' নির্দেশক প্রাইস রিভার্সাল অবস্থান নির্দেশিত নিশ্চিতকরণ নির্দেশক। যাহোক, ভবিষ্যতে এমন রিভার্সাল হবে কিনা সে সম্পর্কে এটা কোন নির্দেশনা দেয় না। ব্যবসায় সফলতার সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য বিশ্লেষণের অতিরিক্ত পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করতে হবে, যেমন - নির্দেশকের মাত্রাগুলোর উপর বিপরীত পরিবর্তনের ধরণ নির্দেশ করার জন্য ব্যবহৃত ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট।
'ডে চ্যানেল' এর শক্তিশালী মাত্রাগুলো হল ১, ৩ (পিভট পয়েন্ট) এবং ৫, কারন আগের দিনের হাই এবং লো এর সীমানাগুলো মূল্যের জন্য শক্তিশালী বাঁধা হয়ে কাজ করে, বিশেষকরে আর্থিক সম্পদের মূল্য অপরিবর্তিত থাকলে।
২ এবং ৪ মাত্রা স্বল্প-মেয়াদী সমর্থন এবং প্রতিরোধ হিসাবে কাজ করে, যেখানে পজিশনের আকার বৃদ্ধি করা ভাল এবং মূল্যের ওঠানামা অগ্রগামী হলে নতুন পজিশন না খোলা ভাল।