পরের দিন প্রবণতার দিকে একটি গ্যাপ হওয়ার কারণে ওপেনিং এবং ক্লোজিং প্রাইস সমান হয়। বাজার বিশ্লেষণের জন্য জাপানিজ ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট ব্যবহারের একটি অন্যতম উদাহরণ হলো ডোজি স্টার। এটা সবসময় স্পষ্ট সংকেত প্রদান করে। আমরা অন্য কোনো গ্রাফিক্যাল বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যবহার করলে প্রবণতা দুর্বল হওয়ার বিষয়টি এতটা স্পষ্টভাবে ধরা পড়ত না।
কীভাবে ডোজি স্টার সনাক্ত করবেন?
- প্রথম দিন একটি দীর্ঘ ক্যান্ডেলস্টিক তৈরি হয়।
- দ্বিতীয় দিন একটি ডোজি আবির্ভূত হয় এবং গ্যাপ তৈরি হয়।
- ডোজি শ্যাডো খুব বেশি বড় হবে না, বিশেষকরে বুলিশ প্রবণতার সময়।
প্যাটার্নের মনস্তাত্ত্বিক দিক
বিয়ারিশ ডোজি স্টার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সময় আবির্ভূত হয় এবং এক্ষেত্রে সাদা রঙের বড় একটি ক্যান্ডেলস্টিক তৈরি হয়। পরের দিন ওপেনিং প্রাইস এবং ক্লোজিং প্রাইস সমান বা কাছাকাছি হওয়ার কারণে সংকীর্ণ প্রাইস রেঞ্জের মধ্যে লেনদেন হয়। এমন পরিস্থিতিতে ট্রেডারগণ পূর্বের প্রবণতার কথা ভুলে যায়। অনেকেই তাদের পজিশন পরিবর্তন করে ক্যান্ডেলস্টিকের আকার দীর্ঘ করে। পরের দিনের ক্লোজিং প্রাইস যদি ডোজি স্টার এর নিচে অবস্থান করে তাহলে প্রবণতা বিপরীতমুখী হবে।
প্রথম দিন যদি প্রধান প্রবণতায় কোনো লেনদেন ক্লোজ করা হয়, তাহলে ডোজি স্টার তৈরি হওয়ার আগে প্রাইস গ্যাপ হয়। এই গ্যাপ যদি শ্যাডো আবৃত করে তাহলে প্রবণতার রিভার্সাল আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রথম দিন ক্যান্ডেলস্টিকের রঙ অবশ্যই প্রবণতার দিক নির্দেশ করবে।
প্যাটার্ন পরিবর্তন
বুলিশ ডোজি স্টার কাঠামোর মধ্যে কালো রঙের লম্বা একটি ক্যান্ডেলস্টিক থাকে, যা বুলিশ প্যাটার্নের বিপরীত।
বিয়ারিশ ডোজি স্টার এর মধ্যে সাদা রঙের লম্বা একটি ক্যান্ডেলস্টিক থাকে এবং এটা বিয়ারিশ প্যাটার্নের বিপরীত। এই ধরনের বৈপরীত্য এড়ানো যায় না।
বুলিশ ডোজি স্টার
বুলিশ ডোজি স্টার