জাপানিজ ক্যান্ডেলস্টিকস হলো মুদ্রা বাজারের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রায়োগিক বিশ্লেষণগুলোর মধ্যে একটি। এই বিশ্লেষণটি অষ্টাদশ শতাব্দীতে জাপান থেকে শুরু হয় এবং বর্তমানে সারা বিশ্বের লেনদেনকারীদের কাছে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। জাপানিজ ক্যান্ডেলস্টিকের নামকরণ করা হয়েছে চার্টের আকৃতি থেকে, কারণ এর উপকরণগুলো দেখতে ক্যান্ডেলস্টিকের মত। এটা প্রাইস ওপেনিং ও ক্লোজিং লেভেল সহ কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমায় প্রাইস ব্যান্ডে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পয়েন্ট প্রদর্শন করে।
চার্টের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে বেলন আকৃতির ক্যান্ডেলস্টিক, যার মাধ্যমে ওপেনিং এবং ক্লোজিং প্রাইজের মধ্যকার ব্যাপ্তি প্রদর্শিত হয়।
নিচের অনুভূমিক লাইন দ্বারা ওপেনিং প্রাইস (ওপেন) এবং উপরের অনুভূমিক লাইন দ্বারা ক্লোজিং প্রাইস নির্দেশিত হয়। উপরের ও নিচের উলম্ব লাইন যথাক্রমে সর্বোচ্চ (হাই) এবং সর্বনিম্ন (লো) মূল্য প্রদর্শন করে। কোনো প্রিয়ডে মুদ্রার হার পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে ক্যান্ডেলস্টিকের রং নির্ধারিত হয়, সাধারণত কালো অথবা সাদা।
জাপানিজ ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট বিশ্লেষণের নিয়ম:
• ওপেনিং এবং ক্লোজিং প্রাইসের সমান মান চার্টে একটি অনুভূমিক লাইনের মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়। তখন ক্যান্ডেলস্টিককে খ্রিস্ট ক্রোসের মত দেখায়।
• ওপেনিং মূল্য ক্লোজিং মূল্য থেকে বেশি হলে ক্যান্ডেলস্টিক কালো রঙের হয়, যার অর্থ বাজার নিম্নমুখী।
• ওপেনিং মূল্য ক্লোজিং মূল্য থেকে কম হলে ক্যান্ডেলস্টিক সাদা রঙের হয়, যার অর্থ বাজার ঊর্ধ্বমুখী।
• ক্যান্ডেলস্টিকের মাধ্যমে ওপেনিং এবং ক্লোজিং প্রাইসের মধ্যকার ব্যাপ্তি নির্দেশিত হয়।
• ক্যান্ডেলস্টিকের সকল উপাদান নির্ধারিত হলে এবং সম্পূর্ণরূপে গঠিত হলে চার্টের সামনের দিকে নতুন সময়সীমায় আরেকটি ক্যান্ডেলস্টিক তৈরি শুরু হয়।
সুতরাং, চার্ট হলো ক্যান্ডেলস্টিকের ধারা যার মাধ্যমে মূল্যের গতিময়তা প্রদর্শিত হয় এবং এর ফলে লেনদেনকারীদেরকে হিসাব করার জন্য সময় নষ্ট করতে হয় না।