ল্যারি পেজ

এক বছরেরও বেশি সময় আগে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজকে সর্বশেষ প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল। তিনি এবং সের্গেই ব্রিন গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেটের সিনিয়র পদ থেকে পদত্যাগ করার মুহুর্ত থেকে তাকে আর দেখা যায়নি। কিছু গুজব রটেছে যে এই বিলিয়নিয়ার মহামারী চলাকালীন কয়েক মাস ফিজি দ্বীপে কাটিয়েছিলেন। কিছু সাংবাদিক এমন দাবি করেন যে তিনি এখনও ফিজিতে থাকেন কারণ কিছু মানুষ ব্যক্তিগতভাবে সেখানে তার সাথে দেখা করেছিলেন। তবে, ডাউনশিফটার খ্যাত ল্যারি পেজ বর্তমানে সেখানে কি করছেন তা জানা যায়নি। এমন আকস্মিক এবং রহস্যজনক নিখোঁজের কারণও অজানা।

কাজী ব্রাদার্স

এই বছরের বসন্তে, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ আফ্রিক্রিপ্টের প্রতিষ্ঠাতারা অদৃশ্য হয়ে যান। এর আগে আমির এবং রইস কাজী ইউজারদের বলেছিলেন যে সিস্টেমের সাম্প্রতিক হ্যাকের কারণে তাদের অ্যাকাউন্টগুলি কম্প্রোমাইজড করা হয়েছে। তারা এর মধ্যে আইনজীবীদের না জড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন। তবে ক্রিপ্টো ট্রেডাররা বরং চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন। কাজী ব্রাদার্সের অনুসন্ধানে জানা গেছে যে দুই ভাই $৩.৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বিটকয়েন সাথে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছে। হ্যানকোমের অ্যাটর্নি বলেছেন, "আমরা সন্দেহপোষণ করছি কারণ তাদের ঘোষণায় বিনিয়োগকারীদের আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। আফ্রিক্রিপ্টের কর্মীরা কথিত হ্যাকের সাত দিন আগে সার্ভার প্ল্যাটফর্মগুলিতে অ্যাক্সেস হারিয়ে ফেলেছিল।"

জ্যাক মা

বৃহৎ টেক কোম্পানি আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা গত শরৎে হঠাৎ করেই অদৃশ্য হয়ে যান। কয়েক মাস ধরে তিনি সম্পূর্ন নিঃশব্দে ছিলেন। গণমাধ্যম তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টির সাথে তার উপর কর্তৃপক্ষের সমালোচনাকে এক সূত্রে মিলিয়েছে। গত অক্টোবরে সাংহাইয়ে একটি শীর্ষ সম্মেলনের সময়, জ্যাক মা বৃহৎ ব্যবসার প্রতি নিয়ন্ত্রকদের মনোভাবের প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন। তিনি তাদের বিরুদ্ধে "পনশপ" মানসিকতার অভিযোগ করেছিলেন যা উদ্ভাবন শিল্পকে বাধাগ্রস্ত করেছে। সরকারের প্রতিক্রিয়া বেশ অনুমানযোগ্য ছিল। আলিবাবা বেশ কয়েকটি অ্যান্টিট্রাস্ট তদন্তের মুখোমুখি হয়েছিল। জ্যাক মা ৩ মাস নিখোঁজ থাকার পর একটি অনলাইন ভিডিওতে আবার হাজির হন। ভিডিওতে দেখা গেছে জ্যাক মা চীনের গ্রামীণ দরিদ্রদের উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তিনি বলেছেন, "আমি ও আমার সহকর্মীরা শিখছি এবং চিন্তা করছি, আর আমরা শিক্ষা এবং জনকল্যাণে নিজেদের নিবেদিত করার জন্য আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে উঠেছি।"

জেরি কটন

২০১৮ সালে ৩০০,০০০ এরও বেশি রেকর্ড সংখ্যক ব্যবহারকারী কানাডিয়ান ক্রিপ্টো প্ল্যাটফর্ম কোয়াড্রিগোতে নিবন্ধন করেছিল। সেই সময় এর প্রতিষ্ঠাতা জেরি কটন হঠাৎ করে ভারতে চলে যান। এর কিছুদিন পরেই তার মৃত্যুর অপ্রত্যাশিত খবর শিরোনামে আসে। মাত্র এক মাস পরে ট্রেডারদের এই ট্র্যাজেডি সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। পাসওয়ার্ডগুলিতে সম্পূর্ণ অ্যাক্সেস থাকায় প্ল্যাটফর্মে সঞ্চিত সমস্ত অর্থ কটন তার সাথে নিয়ে গিয়েছিল। বিনিয়োগকারীরা বিশ্বাস করেন যে কটন এখনও বেঁচে আছে। তিনি কেবল প্রচারণার জন্য একটি ভাল পারফরম্যান্স করেছিলেন কারণ কানাডিয়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা এক্সচেঞ্জেটির বেশিরভাগ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন।

স্টিভ ফসেট

বিলিয়নিয়ার স্টিভ ফসেট শুধু একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হিসেবে নয়, একজন অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় ব্যক্তি হিসেবেও বিখ্যাত ছিলেন। তিনি অ্যারোনেটিক্স এবং সেইলিংয়ে বেশ কয়েকটি বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করেছিলেন তবে একটি বিপজ্জনক বিনোদনের প্রতি তার ব্যাপক আগ্রহই তার ধ্বংস ডেকে আনে। ২০০৭ সালে ফসেট বিমানে করে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরে বিমানটি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে গেল। বেশ কয়েক দিন ধরে এই ব্যবসায়ীর খোঁজ চালানো হলেও কোন সাফল্য পাওয়া যায়নি। কয়েক মাস পরে ফসেটকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মাত্র ৭ মাস পরে, নেভাদার জঙ্গলে বিমানের ধ্বংসাবশেষের সাথে তার দেহাবশেষ পাওয়া যায় যে পথ ধরে তিনি শেষবারের মত যাচ্ছিলেন।